ইসলামে জায়গা-জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্ধারিত বিধান মেনে চলা বাধ্যতামূলক। পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে উত্তরাধিকার বণ্টনের নিয়মাবলি বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, সূরা নিসার আয়াতগুলোতে বলা হয়েছে, পিতা-মাতা এবং নিকট আত্মীয়দের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে পুরুষ ও নারীর নির্ধারিত অংশ রয়েছে। একজন পুরুষ সাধারণত একজন নারীর তুলনায় দ্বিগুণ অংশ পাবেন। সন্তানদের ক্ষেত্রে পুরুষ সন্তান নারীর তুলনায় দ্বিগুণ অংশ পাবে। স্বামীর জন্য স্ত্রীর সম্পত্তিতে এক-চতুর্থাংশ এবং স্ত্রীর জন্য স্বামীর সম্পত্তিতে এক-অষ্টমাংশ নির্ধারিত।
মৃত ব্যক্তির পিতামাতা, সন্তান, স্বামী বা স্ত্রী, এবং নিকট আত্মীয়দের সুনির্দিষ্ট অংশ রয়েছে। যেমন, মৃত ব্যক্তির পিতামাতা সন্তান থাকলে এক-ষষ্ঠাংশ করে পাবেন। সন্তান না থাকলে মা এক-তৃতীয়াংশ এবং বাবা বাকি অংশ পাবেন। এভাবে ইসলামী আইন অনুযায়ী সম্পত্তি বণ্টনের সময় সকল উত্তরাধিকারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ নিজ হাতে উত্তরাধিকারীদের জন্য তাদের প্রাপ্য নির্ধারণ করেছেন, তাই এসব বিষয়ে কারও নিজের ইচ্ছা বা পক্ষপাতের স্থান নেই। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি উত্তরাধিকার বণ্টনে কারও প্রতি অবিচার করে, সে কিয়ামতের দিন শাস্তির মুখোমুখি হবে।
উত্তরাধিকার বণ্টনের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ এবং কোনো বৈধ উইল থাকলে তা সম্পন্ন করার পর বাকি সম্পত্তি ইসলামী বিধান অনুসারে বণ্টন করতে হবে। সম্পত্তি বণ্টনে কারও প্রতি অন্যায় বা হক থেকে বঞ্চিত করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, যারা আল্লাহর বিধান অমান্য করবে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে শাস্তি ভোগ করবে। ইসলামী উত্তরাধিকার আইন আল্লাহর ন্যায়বিচারের প্রতিফলন, যা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যম।
thebgbd.com/NIT