ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অন্যের হক নষ্ট করা নিয়ে কড়া বার্তা

আল্লাহ তাআলা অন্যের অধিকার রক্ষা করার প্রতি জোর দিয়েছেন এবং কোনো অবস্থাতেই হক নষ্ট করাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
অন্যের হক নষ্ট করা নিয়ে কড়া বার্তা ফাইল ছবি

ইসলামে অন্যের হক নষ্ট করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে সতর্ক করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা অন্যের অধিকার রক্ষা করার প্রতি জোর দিয়েছেন এবং কোনো অবস্থাতেই হক নষ্ট করাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।  


পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন,  "তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করার জন্য বিচারকের কাছে উপস্থাপন করো না।" (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৮)  


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারও সম্পত্তি দখল করে, কিয়ামতের দিন সে দখলকৃত ভূমি সাত তলের সমান করে তার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।" (সহিহ বুখারি: ২৪৫৪)  


অন্যের হক নষ্ট করা শুধু সম্পদ বা জমিজমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কারও ইজ্জত, সম্মান, সুযোগ বা প্রাপ্য অধিকার কেড়ে নেওয়াও ইসলামে নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, "যে ব্যক্তি কারও প্রতি জুলুম করেছে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ নিয়ে নেয়, কেননা কিয়ামতের দিন কোনো দিরহাম বা দীনার থাকবে না। তখন তার নেকি থেকে নিয়ে জালিমের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। যদি তার নেকি না থাকে, তাহলে মজলুমের গুনাহ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।" (সহিহ বুখারি: ২৪৪৯)  


রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন, "তোমাদের জান-মাল এবং সম্মান পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের দিন, এই মাস এবং এই শহর হারাম।" (সহিহ বুখারি: ১৬৭৯)  


ইসলামে হক নষ্ট করা আখিরাতে কঠিন শাস্তির কারণ হবে। অন্যায়ভাবে মানুষের অধিকার হরণ করে কোনো উপকার পাওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, "অবশ্যই জালিমরা সফলকাম হবে না।" (সূরা আনআম, আয়াত ২১)  


অন্যের হক নষ্ট না করে প্রাপ্য অধিকার যথাযথভাবে আদায় করা, ন্যায্যতা বজায় রাখা, এবং জুলুম থেকে বিরত থাকা ইসলামী জীবনের অপরিহার্য অংশ।


thebgbd.com/NIT