আজ (সোমবার) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেবেন। রাজধানী ওয়াশিংটনজুড়ে ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া এই অভিষেক অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন ২৫ হাজার আইন প্রয়োগকারী সদস্য, যার মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল গার্ডের ৭ হাজার ৮০০ সদস্য। একই মঞ্চে শপথ নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, যা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সূচনা করবে।
ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে পরিবারের সঙ্গে ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন ট্রাম্প। শপথগ্রহণের আগে তিনি ভার্জিনিয়ার একটি গলফ ক্লাবে আতশবাজি প্রদর্শনী ও অতিথি সংবর্ধনার মাধ্যমে উৎসব শুরু করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার।
শপথগ্রহণের দিনই ট্রাম্প রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার বেশিরভাগ আদেশ বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতিমালা বাতিল করার উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হবে। তবে ঠিক কতগুলো আদেশ জারি করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
শপথের দু’দিন আগে হাজার হাজার মানুষ, বিশেষত নারীরা, ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। দ্য পিপলস মার্চ নামে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি, যা ২০১৭ সাল থেকে পরিচিত উইমেন্স মার্চ নামে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধিতা করে। নিউইয়র্ক ও সিয়াটলেও এ ধরনের ছোটখাটো প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই অভিষেক অনুষ্ঠানে ব্যতিক্রমীভাবে বেশ কিছু বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ও নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম আমন্ত্রিতদের তালিকায় নেই, যা কূটনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ সাবেক প্রেসিডেন্টরা, যেমন বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন এবং জর্জ ডব্লিউ বুশ উপস্থিত থাকবেন। প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে থাকবেন ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ।
অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের বিভিন্ন রাস্তায় সামরিক যান ও ন্যাশনাল গার্ডের উপস্থিতি শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জোরদার করেছে।
বিশ্বজুড়ে বিতর্ক, কৌতূহল ও শৈল্পিক আয়োজনের মিশেলে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ গ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি স্মরণীয় অধ্যায় হতে চলেছে।
thebgbd.com/NIT