প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ভোটকেন্দ্র দখলের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার সাভারে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, যেদিন মানুষ নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, সেদিনই নির্বাচন কমিশন ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত বলে মনে করবে। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা আজ থেকে শুরু হলো।
তিনি আরও বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্র দখলের মতো কর্মকাণ্ড রোধ করতে হবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ
সর্বশেষ ২০২২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। এবছর ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী যারা এখনও ভোটার হননি, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের জন্য এবার প্রায় ২০ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।
নতুন ভোটার হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
২. জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি।
৩. নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি।
৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি (যদি প্রযোজ্য হয়)।
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি রশিদ)।
সতর্কতাসমূহ
১. নাম, পিতা-মাতার নাম, এবং জন্ম তারিখ সঠিকভাবে লিখতে হবে।
২. জন্ম তারিখ জন্ম নিবন্ধন বা সনদের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
৩. প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
৪. কোনোভাবেই দ্বৈত ভোটার হওয়া যাবে না।
দ্বৈত ভোটারের শাস্তি
ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বৈত ভোটার সহজেই শনাক্ত করা যায়।
thebgbd.com/NIT