ঘুমের অভাব শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয় এবং বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুমের অভাব থেকে যেসব সমস্যা হতে পারে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রথমত, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ ঘুমের অভাবে অন্যতম প্রধান সমস্যা। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুমের অভাবে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
তৃতীয়ত, এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। দীর্ঘদিন ঘুম কম হলে ডিমেনশিয়া বা আলঝেইমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চতুর্থত, মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘুম কম হলে দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং বিষণ্নতার মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পঞ্চমত, ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দেহ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারায়, ফলে সহজেই ইনফেকশন বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ষষ্ঠত, এটি ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার কারণ হতে পারে। ঘুমের অভাবে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
সর্বশেষে, ত্বক ও চুলের সমস্যাও হতে পারে। ঘুম কম হলে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে।
ঘুম শুধু বিশ্রামের জন্য নয়; এটি শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা উচিত, যাতে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।