ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়

জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা এবং কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • | ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় জরায়ু ক্যান্সার

জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা এবং কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নারীদের মধ্যে একটি সাধারণ কিন্তু প্রতিরোধযোগ্য ক্যান্সার। প্রতিরোধের জন্য নিচে কিছু করণীয় দেওয়া হলো:


১. হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) ভ্যাকসিন গ্রহণ


জরায়ুর ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV)। সঠিক সময়ে এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায়। এটি সাধারণত ৯-২৬ বছর বয়সের মধ্যে নেওয়া হয়।


২. নিয়মিত প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা


প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট জরায়ুর কোষের অস্বাভাবিক পরিবর্তন সনাক্ত করতে সহায়তা করে। ২১ বছর বয়সের পর থেকে নিয়মিত এই পরীক্ষা করানো উচিত।


৩. সুরক্ষিত যৌনজীবন


যৌনমিলনের সময় সুরক্ষিত পদ্ধতি (যেমন কনডম) ব্যবহার করলে HPV এবং অন্যান্য যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


৪. ধূমপান পরিহার


ধূমপান জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপানের অভ্যাস পরিত্যাগ করে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব।


৫. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস


ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ, বিশেষ করে ফল, শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারও এ ক্ষেত্রে সহায়ক।


৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ


অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।


৭. পর্যাপ্ত পানি পান


শরীর হাইড্রেটেড রাখা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, যার মধ্যে জরায়ুর ক্যান্সারও অন্তর্ভুক্ত।


৮. জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার


দীর্ঘদিন ধরে হরমোনাল জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া উচিত।


৯. পরিবারের স্বাস্থ্য ইতিহাস জানা


যদি পরিবারে কারও জরায়ুর ক্যান্সার থাকে, তবে সচেতনতা আরও বাড়ানো উচিত এবং নিয়মিত স্ক্রিনিং করানো উচিত।


১০. স্ট্রেস ও মানসিক চাপ কমানো


অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।


জরায়ুর ক্যান্সার প্রতিরোধে মূলত সচেতনতা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা জরুরি।