যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রাপ্তির অধিকারকে সীমিত করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করার নির্বাহী আদেশকে ‘স্পষ্টই অসাংবিধানিক’ বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটনের সিয়াটল ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক জন কফেনৌর। একইসঙ্গে নির্বাহী আদেশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার একটি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল সংক্রান্ত। তবে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ চ্যালেঞ্জ করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অন্তত পাঁচটি আবেদন জমা পড়ছে। যার একটির পরিপ্রেক্ষিতে, আদেশটিকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটনের সিয়াটল ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক জন কফেনৌর। একইসঙ্গে নির্বাহী আদেশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের আদেশটি আটকে দিতে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল নিক ব্রাউন এবং তিনটি ডেমোক্র্যাটিক শাসিত রাজ্যের পক্ষ থেকে করা আবেদনের পক্ষে রায় দেন বিচারক কফেনৌর। আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, এই আদেশে রাজ্যগুলোর তাৎক্ষণিক ক্ষতি হয়েছে এবং আরও বিচারবিভাগীয় আলোচনা ছাড়াই বিচারকের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। তবে বিচারক তার স্থগিতাদেশ দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এদিকে, নির্বাহী আদেশের ওপর দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চলবে।
১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। তবে ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।
সূত্র: এপি, এএফপি
এসজেড