রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করার পর নিউমার্কেট থানায় পুলিশের গাড়ি থামিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার ভোরে নিউমার্কেট থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর আঘাত করে তারা। হামলায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) তারিক লতিফসহ চার থেকে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।
পুলিশ হামলার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন বশির ইসলাম (২৮), মোহাম্মদ হাসান (২১), মোহাম্মদ ইমন (২৫), মাসুম মাহমুদ (৩২), মোহাম্মদ আলামিন (৩০) ও আকবর আলী। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হককে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় ‘ইমন গ্রুপ’ নামক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মামলা করেন সমিতির আরেক নেতা ওয়াহিদুল হাসান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকা এক আসামি জানায়, ছাত্রদল নেতা মিথুন তাকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। মিথুন ইমন গ্রুপের প্রধান সানজিদুল হাসান ইমনের হয়ে ধানমণ্ডি এলাকায় চাঁদা তোলার কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকা থেকে মিথুনকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানায় আনা হয়। তবে থানায় পৌঁছানোর পর তার সমর্থকরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়, যা ব্যর্থ হয়।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন আতিক জানান, মিথুনকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হলেও পুলিশ তা প্রতিহত করে। এ ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। হামলার নির্দেশদাতা সম্পর্কে জানতে তদন্ত চলছে।
thebgbd.com/NA
