ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চেলসিকে হারিয়ে শীর্ষ চারে ম্যানসিটি

চেলসির বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
চেলসিকে হারিয়ে শীর্ষ চারে ম্যানসিটি চেলসির বিপক্ষে গোল পেয়েছেন হলান্ড।

পুরনোদের ওপর আস্থা পাচ্ছেন না তাই দিন কয়েক আগে দলে যোগ দেয়া নতুন তিন খেলোয়াড়ের দুজনকেই নামিয়ে দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। প্রিমিয়ার লিগের মতো তুমুল প্রতিযোগিতামূলক লিগে অভিষেকের চাপেই হয়ত মারাত্মক ভুলটা করে বসেছিলেন সিটির নতুন ডিফেন্ডার আব্দুলকদির খুশানভ। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর সিটিজেনরা অবশ্য প্রথমার্ধেই ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির জালে আরও দুই গোল দিয়ে সহজ জয়ই পেয়েছে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।


শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ইতিহাদে শুরুতে গোল খেয়েও চেলসির বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। চেলসিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ননি মাদুয়েকে। কিন্তু ইয়াস্কো গাভার্দিওল সমতায় ফেরানোর পর আর্লিং হলান্ড এবং ফিল ফোডেন জয় এনে দেন স্বাগতিকদের।


এই জয়ে ২৩ ম্যাচে ১২ জয় এবং ৫ ড্রয়ে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠেছে সিটি। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় নিউক্যাসল ইউনাইটেড পাঁচে। ২৩ ম্যাচে চেলসি ৪০ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে।


ঘরের মাঠের তৃতীয় মিনিটের ভুল করে বসেন কদিন আগে যোগ দেয়া খুশানভ।   তার দুর্বল ব্যাকপাস নিয়ন্ত্রণে নেন নিকোলাস জ্যাকসন। তার পা থেকে বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান মাদুয়েকে।


গোল খেয়ে নড়েচড়ে বসে সিটিজেনরা। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। পরের মিনিটেই চেলসির কোল পালমারকে পাস দিয়ে বসেন খুশানভ। তবে বল উদ্ধার করতে সমর্থ হন এবার। তবে ততক্ষণে দেখেছেন হলুদ কার্ড। ২০বছর বয়সী উজবেক সেন্টারব্যাকের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হলো। তবে সময়ের সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হন তিনি। বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করেছেন।


৩৪ মিনিটে চেলসির জালে বল পাঠান সিটির নতুন ফরোয়ার্ড মারমৌশ। তবে অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়।


তবে ৪২ মিনিটে গাভার্দিওলকে আর ঠেকাতে পারেনি চেলসি। গুন্দোয়ানের থ্রু বল ধরে বুলেট গতির শট নেন ম্যাথিউস নুনেস। সেই শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন চেলসির গোলরক্ষক সানচেস। ছুঁতে গিয়ে ফিরিত বল জালে পাঠান সিটির ক্রোয়াট ফুলব্যাক। চলতি আসরে এটি এই ডিফেন্ডারের পঞ্চম গোল, ডিফেন্ডারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। সিটির খেলোয়াড়দের মধ্যে শুধু হলান্ড এবং ফোডেনই তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন এই মৌসুমে।


দ্বিতীয়ার্ধেও একই তালে খেলা শুরু হয়। বেশ কয়েকটি আক্রমণের পর ৬৭ মিনিটে সাফল্য আসে হলান্ডের পায়ে। এদারসনের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে ট্রেভর চালোবাহকে এড়িয়ে এগিয়ে যান হলান্ড। তাকে বাধা দিতে এগিয়ে এসে ভুল করেন সানচেস। সুযোগ বুঝে বল জালে পাঠান এই নরওয়েজিয়ান।


লিগে এটি হলান্ডের ১৮তম গোল। অন্যদিকে এটি এদারসনের প্রিমিয়ার লিগ ক্যারিয়ারের পঞ্চম অ্যাসিস্ট , যা গোলরক্ষকদের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।


সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠা চেলসি উল্টো ৮৭ মিনিটে তৃতীয় গোল খায়। প্রতি আক্রমণে বল পেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বল জালে জড়ান ফোডেন।


thebgbd.com/NIT