ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কুম্ভ মেলায় পদদলিত, নিহত বেড়ে ১৫

আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আহত অনেকেরই অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫
কুম্ভ মেলায় পদদলিত, নিহত বেড়ে ১৫ আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে বুধবার ভোরে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন। প্রথম অবস্থায় নিহতের সংখ্যা ছয়জন বলা হয়। কুম্ভ মেলা উৎসবের একজন চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের প্রয়াগরাজ থেকে বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।


ভারতের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে জনসমাগমের সময় মৃত্যুর ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অনেক মানুষের অংশগ্রহণের কারণে কুম্ভ মেলায় এ রকম ঘটনার রেকর্ড আগেও ছিল। ছয় সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব হিন্দু ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের একক বৃহত্তম সমাবেশ। বুধবার লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় সৃষ্টি হয়, যারা পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করতে জমায়েত হয়েছিলেন।


গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার তাদের অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রয়াগরাজের উৎসবস্থলের একজন ডাক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জন মারা গেছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে অনেকেরই অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের নিহতের সংখ্যা প্রচার না করার কথা বলা হয়েছে।  


বুধবার উৎসবের সবচেয়ে পবিত্র দিনগুলোর মধ্যে একটি। গঙ্গা ও যমুনা নদীর সঙ্গমস্থলে পাপ-মোচনে আনুষ্ঠানিক স্নানের সমাবেশে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীদের গেরুয়া পোশাক পরিহিত যোগীরা নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা আকাঙ্ক্ষা রানা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই) সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, কিছু ভিড় নিয়ন্ত্রণকারী বাধা ভেঙে যাওয়ায় পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।


তীর্থযাত্রী মালতী পান্ডে এএফপিকে বলেন, তিনি একটি ব্যারিকেডযুক্ত হাঁটার পথ ধরে নদীতে স্নান করতে যাচ্ছিলেন, তখন পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। মারাত্মক জনসমাগমের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে, পুলিশ এ বছর উৎসবস্থলে এবং বিস্তৃত শিবিরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় শত শত ক্যামেরা স্থাপন করেছে। 


১৯৫৪ সালে কুম্ভমেলায় একদিনেই পদদলিত হয়ে বা ডুবে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, যা বিশ্বব্যাপী জনসমাগম-সম্পর্কিত দুর্যোগের সবচেয়ে বড় সংখ্যাগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়া, ২০১৩ সালে ৩৬ জন পিষ্ট হয়ে মারা যান, শেষবার উত্তরাঞ্চলীয় প্রয়াগরাজ শহরে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।


সূত্র: এএফপি


এসজেড