গোলাম রাব্বানী, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৫ আগস্ট তিনি সস্ত্রীক দেশ ছাড়েন এবং ভারতে দেখা যায় তাকে। সেখানে থেকেও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তাকে দেশে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। বুধবার রাতে হাসনাত তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে এক পোস্ট দেন, যেখানে তিনি দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে গোলাম রাব্বানী লেখেন, "মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।"
এর জবাবে হাসনাত লেখেন, "গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।"
তার মূল পোস্টে হাসনাত আরও লেখেন, "বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। অথচ, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। এটি গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।"
তিনি আরও বলেন, "যদি ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হতো, তাহলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়ত। নির্বিচারে গুম, খুন এবং আরেকটি গণহত্যা করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না তারা। সেই সময় শত শত বিপ্লবীর গলায় ফাঁসির দড়ি পড়ত, ক্রসফায়ারে মারা পড়ত অসংখ্য মানুষ, এবং অন্ধকারে হারিয়ে যেত হাজার হাজার ছাত্র-জনতা।"
এই বিতর্কিত মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
thebgbd.com/NIT