গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের বৃহৎ জুমার নামাজের জামাত। নামাজে অংশ নিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ইতোমধ্যে ময়দানমুখী হয়েছেন। বিভিন্ন বাহনে করে তারা ইজতেমা ময়দানে আসছেন।
ইজতেমা ময়দানের ভেতরে থেকা মুসল্লিরা তাবুর নিচে জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করলেও বাইরের মুসল্লিরা সড়ক, ফুটপাতসহ বিভিন্ন জায়গাতে নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রস্তুতি হিসেবে তারা পুরোনো কাগজ ও বিভিন্ন কারখানার অব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক কিনছেন। এসব কাগজ ও অব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক একজন বা দুইজন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মুসল্লিদের এসব কাগজ ও মোড়ক ১০-২০ টাকায় কিনতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের আশপাশ ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বিশ্ব ইজতেমার ৭নং গেটের সামনে নামাজের জন্য অব্যবহৃত কাগজ বিক্রি করছিলেন মেহেদী হাসান। মেহেদী বলেন, অন্যান্য সময় তিনি একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করেন। ইজতেমার সময় তিনি কাগজ পলি বিক্রি করেন।
মেহেদী বলেন, ১০০ টাকা কেজি দরে পুরোনো কাগজ কিনে এনে তা একজনের নামাজ উপযোগী করে কেটে নিতে হয়। এতে জনপ্রতি ১০ টাকায় বিক্রি করলে সামান্য লাভ হয়। কেটে ছোট করার সময় অনেক কাগজ নষ্ট হয়ে যায়। দুজনের নামাজ উপযোগী কাগজ ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মুসল্লিরা তা কিনে নিচ্ছেন।
ষাটোর্ধ্ব নজরুল ইসলাম পলিথিনে মোড়ানো কাগজ বিক্রি করছিলেন ১০ টাকায়। তিনি বলেন, বিক্রিতে আমাদের যে লাভ হয় তার চেয়ে মুসল্লিদের উপকার বেশি হয়। যারা জুমার নামাজ পড়তে জায়নামাজ সঙ্গে আনেননি, তারাই আমাদের কাছ থেকে এসব কাগজ কিনে থাকেন।
রাসেল নামের অপর যুবক ছয় ফুটের ফয়েল বিক্রি করছিলেন ১২০ টাকায়। মুসল্লিরা দামাদামি করার পর তা ১০০ টাকায়ও বিক্রি করছেন।
দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে আশুলিয়া থেকে ইজতেমা ময়দানে এসেছেন গার্মেন্টস্ কারখানার কর্মকর্তা আশিক। তিনি বলেন, বাস ও রিকশাযোগে ইজতেমা ময়দানে এসেছি, কিন্তু জায়নামাজ সঙ্গে আনা হয়নি। তাই ২০ টাকায় দুজনের বসার উপযোগী পলিথিন কিনেছি। এতে আমাদের উপকারই হচ্ছে।
thebgbd.com/NIT