মাত্র ১০ বছরেই টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় চূড়ায় উঠলেন রশিদ খান। যেখানে ডোয়াইন ব্রাভোর সময় লেগেছে ১৮ বছর। শুধু তাই নয়, এই তালিকায় চূড়ায় উঠতে ব্রাভোর খেলতে হয়েছে ৫৮২টি ম্যাচ; আর সেখানে রশিদ খেলেছেন মাত্র ৪৬০ ম্যাচ। ৬৩১ উইকেট নিয়ে এখন যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ উইকেরশিকারির তালিকার চূড়ায় রশিদ ও ব্রাভো।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এতদিন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ব্রাভো। তবে তার এই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান।
৪৫৯ ম্যাচে ৬২৯ উইকেট নিয়ে শুকবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এসএ২০ তে প্রিটোরিয়ার ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল কেপ টাউনের রশিদ খান। প্রিটোরিয়ার অধিনায়ক কাইল ভেরেইনাকে বোল্ড করে রশিদ পেয়ে যান ৬৩০তম উইকেটের দেখা। ব্রাভোর চেয়ে তখন আর মাত্র একটি উইকেট পেছনে ছিলেন এই আফগান স্পিনার। এরপর মারকুয়েস অ্যাকেরমানকে বোল্ড করে ব্রাভোকে ছুঁয়ে ফেলেন রশিদ খান।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৬৩১ উইকেট পেতে ৪১ বছর বয়সী ব্রাভোকে খেলতে হয়েছে ৫৮২ ম্যাচ। আর ২৬ বছর বয়সী রশিদ খান সেখানে মাত্র দশ বছরের ক্যারিয়ারে ৪৬০ ম্যাচেই এই কীর্তি গড়ে ফেলেছেন। তবে এখন ব্রাভোর সমান সমান হলেও তাকে ছাড়াতে বেশি সময়ও লাগবে না রশিদের। গত সেপ্টেম্বরে সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়েন ব্রাভো।
ব্রাভোর চেয়ে বলও করেছেন কম, তার চেয়ে ৯০ ইনিংস কম বল করেছেন রশিদ। ব্রাভো বোলিং করেছেন ৫৪৬ ইনিংসে, আর রশিদ খান বোলিং করেছেন ৪৫৬ ইনিংসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করেছেন ১ হাজার ৮৬৩.৫ ওভার। ব্রাভোর স্ট্রাইক রেট ১৭.৭, আর রশিদের স্ট্রাইক রেট ১৬.৭। ব্রাভোর বোলিং গড় ২৪.৪০, রশিদ খানের ১৮.০৮।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সেরা পাঁচে আছেন বাংলাদেশেরও একজন। ৪৪৪ ম্যাচে ৪৩৬ ইনিংস বোলিং করে ৪৯২ উইকেট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। ৪২৮ ম্যাচে ৫৩১ উইকেট নিয়ে চারে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ৫৩৪ ম্যাচে ৫৭৩ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার সুনীল নারাইন।
ব্রাভো আর রশিদ খানের উইকেট সংখ্যা সমান হওয়ায় এখন যৌথভাবেই তারা শীর্ষে থাকছেন। রশিদ আরেকটি উইকেট না পাওয়া পর্যন্ত যুগ্মভানে ব্রাভোও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। কিন্তু শীর্ষ পাঁচ জন বোলারের মধ্যে একমাত্র ব্রাভো পেসার, আর বাকি চার জনই স্পিনার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটশিকারির তালিকায় রশিদ খান আছেন দুই নম্বর স্থানে। ৯৬ ম্যাচে ৯৬ ইনিংস বোলিং করে তিনি নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। ১২৬ ম্যাচে ১২৩ ইনিংসে বোলিং করে ১৬৪ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও খুব দ্রুত সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হতে যাচ্ছেন আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার। ১২৯ ম্যাচে ১২৬ ইনিংসে বোলিং করে ১৪৯ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান।
thebgbd.com/NIT