ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাজশাহী মহাসড়কে আলু ফেলে চাষিদের বিক্ষোভ

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুরে এই ঘটনা ঘটে।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
রাজশাহী মহাসড়কে আলু ফেলে চাষিদের বিক্ষোভ সংগৃহীত

আলু সংরক্ষণে কোল্ড স্টোরেজগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহাসড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাষিরা।


রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে তারা মোহনপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশ করেন। 


কর্মসূচিতে তানোর, পবা ও মোহনপুর উপজেলার চাষিরা অংশ নেন। পরে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দিকাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। 


কৃষকরা জানান, প্রতি কেজি আলুর সংক্ষণের জন্য আগে ৪ টাকা ভাড়া দিতে হতো। সম্প্রতি তা বৃদ্ধি করে ৮টা করেছে কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা। আলু সংক্ষণের ভাড়া কমানো না হলে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন তারা। পাশাপাশি মহাসড়ক অবরোধ যাবার হুমকি দেন কৃষকেরা।


জানা গেছে, বেলা ১১টায় মোহনপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে

তানোর-মোহনপুর সড়কে আলু ফেলে বিক্ষোভ করেন চাষিরা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে কৃষকেরা চলে গেলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় চাষিরা কঠোর আন্দোলনের পাশাপাশি মহাসড়ক অবরোধের হুমকি দেন। 


আলুচাষি মো. ইউনুচ আলীসহ কয়েকজন বলেন, গত মৌসুমে হিমাগার কর্তৃক আলুর ভাড়া ছিল প্রতি বস্তা ২৫৫ টাকা। কিন্ত এবার দাম বাড়িয়ে ২০২৫ সালে বস্তায় ৬৫ থেকে ৭০ কেজি আলুর নতুন মূল্য ২৮৫ টাকা নির্ধারণ করে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন। বর্তমানে তারা সেই চুক্তিপত্র বাতিল করে নতুন করে কেজি প্রতি আলুর ভাড়া নির্ধারণ করেন ৮ টাকা। যা আগের নির্ধারিত মূল্যের দ্বিগুণ।


তারা আরও বলেন, মৌসুমে তানোর উপজেলায় ৭০ শতাংশ জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়। এই উপজেলার অর্থনীতিতে আলুর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই না আলোর মৌসুমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কোল্ড স্টোরেজগুলোতে আলু সংরক্ষণের ভাড়া প্রতি কেজিতে চার টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে আলু সংরক্ষণের খরচ ডাবল হয়ে গেছে। আমরা চাই আগের দামে আলু সংরক্ষণ করা হোক।


এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, উপজেলা চত্বরে চাষিরা সমাবেশ করেছেন। পরে তারা একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। 


প্রসঙ্গত, রাজশাহী জেলায় বর্তমানে ৩৬টি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। এর আগে গত জানুয়ারির প্রথম দিকে তানোর উপজেলার কৃষকরা একই দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।


thebgbd.com/NIT