ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অন্যের ক্ষতি করলে যা হয়

অন্যের ক্ষতি করা ইসলামসহ সব ধর্মেই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি অনৈতিক।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
অন্যের ক্ষতি করলে যা হয় ছবি : সংগৃহীত।

অন্যের ক্ষতি করা ইসলামসহ সব ধর্মেই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি অনৈতিক। এটি পার্থিব জীবনে বিভ্রান্তি ও অশান্তি সৃষ্টি করে এবং পরকালে কঠোর শাস্তির কারণ হয়।  


আল কুরআনে আল্লাহ বলেন, "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সমস্ত মানুষকে হত্যা করল, আর যে ব্যক্তি একজনের প্রাণ রক্ষা করল, সে যেন সমস্ত মানুষকে বাঁচিয়ে দিল।" (সূরা মায়িদা: ৩২) এই আয়াত স্পষ্টভাবে বোঝায় যে, কারও ক্ষতি করা শুধু ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, বরং তা সমগ্র সমাজের জন্য হুমকি।  


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই; সে তার প্রতি জুলুম করবে না এবং তাকে শত্রুর হাতে সোপর্দ করবে না।" (বুখারি, হাদিস ২৪৪২) তিনি আরও বলেন, "যে ব্যক্তি মানুষের ক্ষতি করে, আল্লাহ তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন।" (আবু দাউদ, হাদিস ৪৯০৩)  


অন্যের সম্পদ, সম্মান বা জীবনের ক্ষতি করা হারাম এবং এটি কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির কারণ হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারও সম্মান বা সম্পদ নষ্ট করেছে, সে যেন আজই তাকে ফেরত দেয় অথবা ক্ষমা চেয়ে নেয়, অন্যথায় কিয়ামতের দিন তার নেক আমল থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে।" (বুখারি, হাদিস ২৪৪৯)  


মানুষের ক্ষতি করলে পার্থিব জীবনে তার প্রতিক্রিয়া আসে। এটি দুনিয়াতে শত্রুতার সৃষ্টি করে, মানসিক অশান্তি ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার কারণ হয়। আল্লাহর ন্যায়বিচার অবধারিত, তাই অন্যায়কারীরা দুনিয়াতেই পরিণতি ভোগ করে এবং পরকালেও কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "জুলুম কিয়ামতের দিনে অন্ধকার হয়ে যাবে।" (মুসলিম, হাদিস ২৫৭৯)  


অন্যকে কষ্ট না দেওয়া, ন্যায়ের পথে থাকা এবং অন্যের কল্যাণে কাজ করা ইসলামি আদর্শ। আল্লাহর দয়া পেতে হলে মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করা এবং তাদের কষ্ট না দেওয়াই উত্তম পথ।


thebgbd.com/NA