ভোট হয়ে গেছে, এ বার গণনার পালা। শনিবার নির্ধারিত হতে চলেছে ভারতের রাজধানীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপির। খাতায়কলমে লড়াইয়ে আছে কংগ্রেসও। তবে গোড়া থেকেই ধারে ও ভারে বেশ পিছিয়ে তারা। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়ে গেছে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে। চলছে পোস্টাল ব্যালটের গণনা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণনা চলবে।
বুধবার ভোটগ্রহণের পর অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা দিল্লিতে এগিয়ে রেখেছে বিজেপিকে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল যার ফলে কিছুটা চাপে রয়েছে। তাই শনিবার দেশের রাজধানীর ভোটগণনা ঠিক করে দেবে, গত দু’বারের মতো ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে আপ, না কি শেষ মুহূর্তে পিছন থেকে ব্যবধান কমিয়ে বাজিমাত করবে বিজেপি।
নয়াদিল্লি আসনে পিছিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিত। ওই আসনে লড়ছেন কেজরিওয়াল নিজে। কিন্তু পোস্টাল ব্যালটে তিনিও পিছিয়ে। নয়াদিল্লিতে এগিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মা। কালকাজি আসনে পিছিয়ে রয়েছেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা। ওই কেন্দ্রে তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির রমেশ বিধুরী এবং কংগ্রেসের অলকা লম্বা। প্রাথমিক গণনায় অনেক এগিয়ে রমেশ।
দিল্লিতে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আতিশী। শনিবার সকালে তিনি বলেন, ‘এটা কোনও সাধারণ ভোট নয়। এটা শুভ এবং অশুভের লড়াই। আমি নিশ্চিত, দিল্লির মানুষ শুভর সঙ্গে থাকবেন। কেজরিওয়াল চতুর্থ বারের জন্য় মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’
দিল্লি বিধানসভায় মোট আসনসংখ্যা ৭০। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে যে কোনও দলকে ছুঁতে হবে ৩৬ আসনের ‘জাদু সংখ্যা’।ভোটগণনা শুরুর ৪০ মিনিট পরের পরিসংখ্যা বলছে, আপ ২০টি আসনে এগিয়ে, ২৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। চলছে পোস্টাল ব্যালটের গণনা। পোস্টাল ব্যালটের গণনা চলছে। শুরুতে পিছিয়ে রয়েছেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনা।
লোকসভা নির্বাচনের মতো দিল্লির ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চায়নি আপ। কেজরি ঘোষণা করেন, তার দল দিল্লির ভোটে একাই লড়বে। প্রথম থেকেই তাই ভারতের রাজধানীর রাজনৈতিক লড়াইয়ে ধারে ও ভারে কিছুটা পিছিয়ে কংগ্রেস। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা এগিয়ে রেখেছে বিজেপিকে। ৫ তারিখ ভোট শেষের পর থেকেই তাই বিজেপি নেতারা আত্মবিশ্বাসী। অন্য দিকে, বুধবার ভোটপর্ব শেষের পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে নানা ‘অনিয়মের’ অভিযোগ তুলে চলেছে আপ। যা আসলে দুশ্চিন্তার প্রতিফলন বলেই মনে করছেন অনেকে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসজেড