ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অবসর সময়ের আমল

ইসলামে সময়ের মূল্য অত্যন্ত বেশি, এবং যে কোনো মুহূর্তকে ইবাদতে ব্যয় করা শ্রেষ্ঠ কাজ।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
অবসর সময়ের আমল ফাইল ছবি

অবসর সময়কে ফলপ্রসূ করার জন্য কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন আমলের কথা বলা হয়েছে। ইসলামে সময়ের মূল্য অত্যন্ত বেশি, এবং যে কোনো মুহূর্তকে ইবাদতে ব্যয় করা শ্রেষ্ঠ কাজ।  


আল্লাহ বলেন, “অবশ্যই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা নয়, যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, এবং সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়।” (সুরা আল-আসর: ২-৩)  


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “পাঁচটি বিষয়ের আগে পাঁচটি বিষয়কে গনিমত মনে করো: বার্ধক্যের আগে যৌবন, অসুস্থতার আগে সুস্থতা, দরিদ্রতার আগে সম্পদ, ব্যস্ততার আগে অবসর এবং মৃত্যুর আগে জীবন।” (মুসনাদে আহমাদ)  


অবসর সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত পুণ্যময় কাজ। কোরআনে এসেছে, “নিশ্চয়ই এটি এক মহিমান্বিত কিতাব, যা আমরা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যেন তারা এর আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে এবং বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা শিক্ষা গ্রহণ করে।” (সুরা ছাদ: ২৯)  


জিকির ও তাসবিহ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ দিনে ১০০ বার পড়ে, তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়, যদিও সেগুলো সমুদ্রের ফেনার মতো হয়।” (বুখারি, মুসলিম)  


অবসর সময়ে দরুদ পাঠ করা সুন্নাত ও ফজিলতপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন।” (মুসলিম)  


ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব অনেক বেশি। কোরআনে এসেছে,

“যারা জানে আর যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে?” (সুরা আজ-জুমার: ৯)  


অন্যকে উপকার করা, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোনো অন্যায় কাজ দেখে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে। যদি না পারে, তবে মুখ দিয়ে নিষেধ করবে। যদি তাও না পারে, তবে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে—আর এটি হল ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।” (মুসলিম)  


অবসর সময় সৃষ্টিকর্তার স্মরণ, ইবাদত ও কল্যাণকর কাজে ব্যয় করা হলে তা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর হয়।


thebgbd.com/NIT