শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে যে, এই রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন, গুনাহ মাফ করেন এবং দোয়া কবুল করেন। তবে যারা শিরক করে, বিদ্বেষ পোষণ করে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে বা অন্যায়ে লিপ্ত থাকে, তাদের জন্য ক্ষমা স্থগিত রাখা হয়।
এই রাতের বিশেষ আমলগুলো হলো—
- তওবা ও ইস্তিগফার: গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি তওবা করে, সে এমন যেন তার কোনো গুনাহ নেই।" (ইবন মাজাহ)
- নফল নামাজ: দুই, চার বা আট রাকাত নফল নামাজ পড়া যেতে পারে। তবে বিশেষ কোনো সংখ্যা বা পদ্ধতির নির্দিষ্ট হাদিস নেই।
- কোরআন তিলাওয়াত: কোরআন তেলাওয়াত করা এবং এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
- জিকির ও তাসবিহ: সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি বেশি বেশি পড়া উচিত।
- দরুদ শরিফ: রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করেন।” (মুসলিম)
- আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক করা: যদি কারও সঙ্গে মনোমালিন্য থাকে, তবে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
- দোয়া: নিজের, পরিবার ও উম্মাহর জন্য দোয়া করা উচিত। শবে বরাতে বিশেষ দোয়া করার গুরুত্ব আছে, তবে নির্দিষ্ট কোনো দোয়া সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় না। তাই নিজের ভাষায় আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা উত্তম।
এই রাতকে ইবাদতে কাটানো সুন্নাতি আমল। তবে বিদআতি কর্মকাণ্ড, আতশবাজি বা অপব্যয় এড়ানো উচিত।
thebgbd.com/NIT