জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রণীত প্রতিবেদনে বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের তিনটি গ্রুপ—“সাধারণ”, “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” একীভূত করে নতুন বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এ প্রস্তাবের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের মূল কাজ প্রচার ও গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা, যা সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ বেতারের কাজ থেকে স্বতন্ত্র। বেতার একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করলেও জনসংযোগ বা গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত নয়।
এছাড়া, বেতারের সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষ কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন হয়। পূর্বে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপ স্বতন্ত্র ক্যাডার হিসেবে ছিল। তবে কয়েক বছর আগে তাদের সাধারণ ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার ফলে কর্মপদ্ধতি ও জনবল কাঠামোর মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
সংগঠনটি আরও উল্লেখ করেছে, ২০২১ সালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়” রাখা হয়। সে সময় বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তারা স্বতন্ত্র সম্প্রচার ক্যাডার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারা মনে করে, বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের কাঠামো ও নিয়মকানুন বেতারের অনুষ্ঠান ও বার্তা বিভাগের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্ন হওয়ায় একীভূতকরণ যৌক্তিক হবে না।
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন বলছে, একীভূতকরণের পরিবর্তে তথ্য-সাধারণ ক্যাডারকে কেন্দ্র করে “বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস” গঠন করা যেতে পারে এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের জন্য আলাদা “সম্প্রচার সার্ভিস” চালু করা হলে সেটি অধিক কার্যকর হবে।
সংগঠনটির সভাপতি আবুল কালাম মোহাম্মাদ শামসুদ্দিন ও মহাসচিব মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেও একীভূতকরণের এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
thebgbd.com/AR