প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ই তাইওয়ানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশের তিন সপ্তাহের মাথায় চীনের আপত্তি এড়িয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সপ্তম নৌবহরের দুটি যুদ্ধজাহাজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছে বলে মার্কিন নৌবাহিনী নিশ্চিত করেছে। তবে স্থায়ী ভাবে সে দু’টি তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা হচ্ছে না। আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস রালফ জনসন এবং পাথফাইন্ডার শ্রেণির অনুসন্ধানী জাহাজ ইউএসএনএস বাউডিচ উত্তর থেকে দক্ষিণ অভিমুখে প্রণালী পার হবে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। পুরো বিষয়টিকে ‘রুটিন প্রক্রিয়া’ বলেও দাবি করা হয়েছে।
যদিও ওয়াশিংটনের ওই যুক্তি মানতে রাজি নয় চীন। দেশটির সরকারের অভিযোগ, এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে। তিন বছর আগে চীন-তাইওয়ান সংঘাতের আবহে ওই প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল ঢুকে। তাইওয়ান প্রণালীর অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান, ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হিগিন্স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিকেও মোতায়েন করে পেন্টাগন।
পরবর্তী সময় তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌসেনার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বার্ক শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ফ্রিগেট ইউএস চুং হুনের উপস্থিতি ঘিরেও ওয়াশিংটন-বেইজিং উত্তপ্ত বাক্যালাপ হয়। ২০২২ সালের আগস্টে কংগ্রেসের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে চীনা যুদ্ধবিমান। চীন-তাইওয়ান যুদ্ধ আশঙ্কায় সে সময় মার্কিন সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকে।
সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে দুপক্ষ কিছুটা নমনীয় হলেও গত বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চীন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)-র জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। বুধবার ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানের সরকার অভিযোগ তুলেছে, তাদের ঘিরে মঙ্গলবার থেকে চীনা ফৌজের ৩৯টি যুদ্ধবিমান এবং পাঁচটি জাহাজ টহল দিয়েছে!
সূত্র: ফক্স নিউজ
এসজেড
