ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আরেক ফারাওয়ের সমাধির খোঁজ

ফারাও হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না তুতানখামেন। কিন্তু তাঁর মমির সঙ্গে পাওয়া বিপুল ঐশ্বর্য টেক্কা দেয় বাকিদের।
  • অনলাইন ডেস্ক | ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
আরেক ফারাওয়ের সমাধির খোঁজ সমাধির প্রবেশমুখ।

প্রতি বছর তাকে দেখতে কয়েক লক্ষ পর্যটক পাড়ি দেন মিশরের রাজধানী কায়রোর সংগ্রহশালায়। ১৯২২ সালে বৃটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক হাওয়ার্ড কার্টার আবিষ্কৃত বালক রাজা (ফারাও) তুতানখামেন কি এ বার দর্শক টানার প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে চলেছে? ১০৩ বছর পরে মিশরে আবার এক ফারাওয়ের সমাধি আবিষ্কৃত হওয়ার ঘটনা সেই প্রশ্নটাই তুলে দিল এ বার।


বিবিসি জানিয়েছে, বৃটিশ-মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল ফারাও দ্বিতীয় থুটমোসের সমাধি আবিষ্কার করেছেন। সেখানে মিলেছে নানা মহামূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। দ্বিতীয় থুটমোসই মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের একমাত্র ফারাও যার সমাধি এতদিন অনাবিষ্কৃত ছিল। লুক্সরের অদূরে থিবান নেক্রোপলিসের পশ্চিম উপত্যকায় পুরাতত্ত্ব গবেষকেরা তার সমাধি আবিষ্কার করেছেন। তুতানখামেনও ছিলেন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের বালক রাজা।


ফারাও দ্বিতীয় থুটমোস ছিলেন তুতেনখামেনের পূর্বসূরি। প্রায় ৩৫০০ বছর আগে (১৪৯৩-১৪৭৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) তিনি রাজত্ব করেছেন। তার সৎ বোন এবং স্ত্রী হাটসেপসুটের সমাধি ২০২২ সালে আবিষ্কত হয়। তার অদূরেই মিলেছে দ্বিতীয় থুটমোসের সমাধি। গবেষকদলের সদস্য পিয়ার্স লিথারল্যান্ড বলেন, ‘সমাধির ছাদ এখনো অক্ষত আছে। নীল রঙের ছাদে হলুদ রং দিয়ে তারা খোদাই করা শুধু শাসক ফারাওদের সমাধিতেই পাওয়া যায়।’


ইতিহাস বলছে, ফারাও হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না তুতানখামেন। কিন্তু তার মমির সঙ্গে পাওয়া বিপুর ঐশ্বর্য টেক্কা দেয় বাকিদের। সেই সঙ্গে জুড়ে যায় ‘মৃতের প্রতিশোধ নেওয়ার’ অলৌকিক কাহিনী। সেই তুলনায় রাজা দ্বিতীয় থুটমোসের সমাধিকক্ষের জৌলুস অনেক কম বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ পুরাতত্ত্ববিদ দলের সদস্যেরা। এমনকি, মমিটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দলের সদস্য মহাম্মদ আবদেল বাদি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় থুটমোসের মৃত্যুর পরপরই বন্যা হওয়ার কারণে সমাধিকক্ষটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


এর আগে অনুমান করা হয়, তুতানখামেন-সহ অষ্টাদশ মিশরীয় সাম্রাজ্যের অন্য ফারাওদের সমাধিগুলির মতোই ‘ভ্যালি অফ কিংস’-এর আশপাশে থাকতে পারে দ্বিতীয় থুটমোসের সমাধি। কিন্তু তা আবিষ্কৃত হল অনেক দূরবর্তী অঞ্চলে। তুতানখামেন ছিলেন প্রভাবশালী ফারাও চতুর্থ আমেনহোটেপ বা আখেনাতেনের জামাই। আখেনাতেন-এর স্ত্রী ছিলেন সুন্দরী নেফারতিতি। এদের পুত্রসন্তান ছিল না। ছিল সাত কন্যা। এদেরই এক জামাই তুতানখামেন। তিনি ছিলেন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের সবচেয়ে কম দিনের (১৩৩২-১৩২৩ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) বালক রাজা।


সূত্র: রয়টার্স


এসজেড