পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরা বা ক্র্যাম্প সাধারণত স্নায়ু সংকোচন, রক্তসঞ্চালনের সমস্যা বা ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে হতে পারে। এটি হঠাৎ করে হলে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করবে।
প্রথমেই পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করুন এবং ধীরে ধীরে আক্রান্ত পায়ের পেশি টানটান করুন। যদি পায়ের আঙুলের দিক থেকে ঝিঁঝিঁ ধরে থাকে, তবে আঙুলগুলো হাত দিয়ে উল্টো দিকে (দেহের দিকে) টেনে ধরুন। এটি পেশির সংকোচন কমাতে সাহায্য করবে। হাঁটতে চেষ্টা করুন বা হালকা স্ট্রেচিং করুন, যাতে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হয়।
হালকা ম্যাসাজ করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। আক্রান্ত স্থানে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করুন এবং প্রয়োজনে গরম সেঁক দিন। গরম তোয়ালে বা হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করলে পেশি দ্রুত শিথিল হয়। আবার, বরফ সেঁকও আরাম দিতে পারে, বিশেষ করে যদি ক্র্যাম্প দীর্ঘস্থায়ী হয়।
পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং কলা, বাদাম, দুধ বা নারকেল পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
যদি ঘন ঘন পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরে, তবে নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত পানি ও সুষম খাবার খাওয়া উচিত। দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিতে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে ঝিঁঝিঁ ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই সময় সময় অবস্থান পরিবর্তন করা উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের হালকা ম্যাসাজ বা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখা যেতে পারে, যা পেশি শিথিল রাখতে সাহায্য করবে।
যদি ক্র্যাম্প খুব বেশি হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে, ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ বা রক্তসঞ্চালনজনিত সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অবহেলা করা উচিত নয়।