ঢাকা | বঙ্গাব্দ

চীনের জনসংখ্যা হ্রাস

চীন ১৯৮০-এর দশকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চালু করা কঠোর ‘এক সন্তান নীতি’ ২০১৬ সালে বাতিল করে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
চীনের জনসংখ্যা হ্রাস ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে চীনের জনসংখ্যা।

টানা তৃতীয় বছরের মতো ২০২৪ সালে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে চীনে। ছয় দশকেরও বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির পর টানা এই পতন অব্যাহত রয়েছে। দেশটি দ্রুত বয়স্ক জনগোষ্ঠী এবং ক্রমাগত নিম্ন জন্মহার নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।


বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, একসময় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীন ২০২৩ সালে ভারতের পেছন পড়ে যায়। জন্মহার বাড়াতে বেইজিং ভর্তুকি এবং প্রজনন সহায়ক প্রচারণা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.৪০৮ বিলিয়নে, যা ২০২৩ সালের ১.৪১০ বিলিয়ন থেকে কম। জনসংখ্যা হ্রাসের গতি গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। ২০২৩ সালে জনসংখ্যা হ্রাসের হার ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ছিল।


চীন ১৯৮০-এর দশকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে চালু করা কঠোর ‘এক সন্তান নীতি’ ২০১৬ সালে বাতিল করে এবং ২০২১ সালে দম্পতিদের তিন সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। তবে এই নীতি এখনও জনসংখ্যা হ্রাস ঠেকাতে পারেনি। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ জন্মহার হ্রাসের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।


‘প্রবণতা পরিবর্তন হবে না’ জনসংখ্যা হ্রাসের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তারা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা এবং নারীদের শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্যের কারণে এই প্রবণতা চলবে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে বিবাহের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারির সময় সন্তানধারণ স্থগিত করা নারীদের কারণে জন্মহার সামান্য বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে, জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা অপরিবর্তিত থাকবে।


সরকার সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা ধীরে ধীরে অবসর গ্রহণের বয়স বাড়াবে। আগে এই বয়স ৬০ বছর ছিল, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। এই নতুন নিয়ম ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। দ্রুত বয়স্ক জনসংখ্যা এবং জন্মহারের সংকট চীনের অর্থনীতি, পেনশন, এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।


সূত্র: এএফপি


এসজেড