পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে এবং এটি ঈমানের অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। ইসলাম ধর্মের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, এটি শুধুমাত্র শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না হয়ে মানসিক ও আধ্যাত্মিক পরিষ্কারতারও অংশ। হাদিসে এসেছে, "পরিষ্কারতা ঈমানের অঙ্গ" (মুসলিম)। এটি এক ধরনের ধর্মীয় দায়িত্ব, যা একজন মুসলিমের জীবনের প্রতিটি দিকের সাথে সম্পর্কিত।
ইসলাম ধর্মে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক পরিচ্ছন্নতার মধ্যে ভারসাম্য রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে গোসল, হাতমুখ ধোয়া, দাঁত মাজার মতো দৈনিক পরিচ্ছন্নতা রক্ষার বিধান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দানের মাধ্যমে দুঃখী মানুষকে সাহায্য করার ক্ষেত্রেও পরিষ্কারতা ও শুদ্ধতা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানুষের অন্তরকে পরিষ্কার রাখে।
যথাযথ পরিচ্ছন্নতা শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং সমাজে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই ইসলামে প্রতিটি মুসলিমের উচিত নিয়মিত গোসল করা, পায়ের নখ কাটা, হাত-মুখ ধোয়া, কাপড় পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মসজিদে যাওয়ার সময় শুদ্ধ অবস্থায় উপস্থিত হওয়া।
এছাড়া, ইসলামে পরিবেশ এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন, "আপনার আশেপাশের পরিবেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করো।" এতে বোঝানো হয়েছে যে, ব্যক্তি এবং সমাজের উভয়ের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা একটি নৈতিক দায়িত্ব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে, কর্মস্থলে এবং পারিবারিক জীবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা শুধু শরীরের স্বাস্থ্যকেই সুরক্ষিত রাখে না, এটি মানুষকে আধ্যাত্মিকভাবেও শুদ্ধ করে। ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানসিক শান্তি এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক।
এভাবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুধু একটি শারীরিক বিষয় নয়, বরং এটি ঈমানের অংশ হিসেবে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং সমাজের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
thebgbd.com/NIT