এক সপ্তাহ আগে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধ এবং বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবার ঋণনীতি শিথিল করে প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করতে ওই বাড়তি অর্থ খরচ করা হবে।
পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশই গত তিন বছর রুশ অভিযানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করে এসেছে। ট্রাম্প হাত গুটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণার পর সেই সহায়তায় আরও গতি আনতে চাইছে ইইউ। বৃহস্পতিবার বৈঠকের পরে ইইউ-এর ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার করতে ইইউ-এর সদস্যেরা মিলে ১৫ হাজার কোটি ইউরো ঋণ নেবে। এর বড় অংশ ব্যয় হবে ইউক্রেনের সামরিক সাহায্যে। তবে, ভ্লাদিমির পুতিনের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর অর্বান এই প্রস্তাব সমর্থন করেননি।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে আয়োজিত বৈঠকের পরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনে যা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে ইউরোপের প্রতিরক্ষা বাড়াতেই হবে।’ জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎস বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই ইইউ ঋণ নেওয়ার নিয়ম শিথিল করে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্তা বলেন, ‘আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেটাই পালন করছি। আমরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’ ইউনিয়নের প্রধান ভন ডার লিয়েন বলেন. ‘ইউরোপের জন্য পরিস্থিতি পানির মত স্বচ্ছ। একদম নির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার হুমকির সামনে দাঁড়িয়ে আমরা। তাই নিজেদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে আমরা প্রস্তুত।’
সূত্র: এপি
এসজেড