কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ও অকারণে রমজানের রোজা ভেঙে ফেলেন, তবে তাকে কাফফারা দিতে হবে। কাফফারা হলো কঠোর শাস্তিমূলক বিধান, যা রোজার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রযোজ্য।
যেসব কারণে কাফফারা দিতে হয়:
ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা – বিনা কারণে রোজা ভেঙে ফেলা।
স্বামী-স্ত্রীর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা – রোজার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করলে কাযার পাশাপাশি কাফফারা আদায় করতে হবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে রোজা ভেঙে ফেলা – যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেন, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে এবং কাফফারা দিতে হবে।
কাফফারা আদায়ের নিয়ম
কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেলেন, তবে তাকে নিম্নলিখিত তিনটির যেকোনো একটি করতে হবে—
একটানা ৬০ দিন রোজা রাখা – যদি কেউ শারীরিকভাবে সক্ষম হন, তবে তাকে একাধারে ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে।
৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়ানো – যদি কেউ টানা ৬০ দিন রোজা রাখতে অক্ষম হন, তবে ৬০ জন গরিব মানুষকে দুই বেলা তৃপ্তিসহ খাবার খাওয়াতে হবে।
একজন দাস মুক্ত করা – অতীতে এই বিধান ছিল, তবে বর্তমান সমাজে এটি প্রযোজ্য নয়।
রমজানের রোজা ভেঙে গেলে তার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ কাযা বা কাফফারা আদায় করা বাধ্যতামূলক। বৈধ কারণে রোজা না রাখতে পারলে পরবর্তী সময়ে তা কাযা করতে হবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেললে কঠোর কাফফারা আদায় করতে হবে। রোজার গুরুত্ব ও পবিত্রতা রক্ষা করাই মুসলমানের দায়িত্ব।
thebgbd.com/NIT