বাংলা একাডেমি ‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘বাংলা ভাষার শুদ্ধতা ও ঐতিহ্য রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলা একাডেমি—‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফেরার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।’
ফেইসবুকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্ট।
ফেইসবুকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্ট।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বাংলা একাডেমি থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ঈদকার্ডে লিখেছে ‘ঈদ মোবারক’। ঈদকার্ডটি আজ (২৭ মার্চ) সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত একাডেমির ফেইসবুকে পেজে পোস্ট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আজম বলেন, এটা নিয়ে কিছু ভাবছি না। তবে ‘ঈদ’ বানানের মতো বিতর্কিত কিছু শব্দের পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে বাংলা একাডেমি। একটি কমিটি এরই মধ্যে কাজ করছে, সেটি রিফর্ম করে ঈদের পর আরেকটি কমিটি করা হবে। এরপর কমিটির সুপারিশে বাংলা একাডেমির অভিধানে নতুন সংস্করণে এসব পরিবর্তন আনা হবে।
মোহাম্মদ আজম বলেন, বিতর্কিত এসব বানান নিয়ে একটি কমিটি করব শিগগির। সেটি ঈদের পরে হতে পারে। কমিটির সুপারিশে আমরা একটি গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেব। বিতর্কিত এসব বানান এটা ব্যাকরণ অথবা আচরণগত বিষয়টি না। এটা অনেকটাই ঐতিহ্যগত, কোনো কোনো বানানে লোকবাচ্যকে প্রাধান্য দেওয়ার নীতি সারাবিশ্বে রয়েছে। এসব বিষয় তো বাংলা একাডেমি করে না। তারা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেবে, তারা এসব করবে।
তিনি বলেন, একটা কমিটি গঠন নিয়ে নিয়ে কাজ চলছে। আগামী ঈদের পর কমিটি হতে পারে।
বাংলা একাডেমির অভিধানে বানানের পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক দিন হয়েছে। মাঝেমধ্যে এসব বানান পার্যালোচনা করতে হয়। তারাই ধারাবাহিকতায় নতুন করে কমিটি থেকে সিদ্ধান্ত নেব গণতান্ত্রিকভাবে। সেখানে কোনো বানানের বিকল্প প্রস্তাবও রাখা যেতে পারে। পরবর্তী অভিধানের নতুন সংস্করণে এসব বানান অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে বাংলা একাডেমি ‘ঈদ’ শব্দকে ‘ইদ’ বানানে লেখার প্রস্তাব করে। সে সময় প্রতি ঈদেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হলেও কোনো সমাধান হয়নি এত দিন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার হয়তো এ বিষয়ে পরিবর্তন আসতে পারে।
thebgbd.com/NA