ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গাজা হামলায় শঙ্কায় জিম্মি পরিবার

১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভারী বোমাবর্ষণ করে বৃহৎ আকারের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৯ এপ্রিল, ২০২৫
গাজা হামলায় শঙ্কায় জিম্মি পরিবার বিধ্বস্ত গাজা।

গাজায় জিম্মি থাকা এক ইসরায়েলি সেনার মা তার ছেলের ফিরে আসার জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নতুন করে বোমাবর্ষণ তার জীবনকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে হেরুত নিমরোদি বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা বিপদের মধ্যে রয়েছে।’ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তারিখে যখন তার ছেলে তামিরকে গাজায় জিম্মি করা হয়, তখন তার বয়স মাত্র ১৮ বছর।


তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বেশি কিছু জানি না, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, গাজার ওপর সামরিক চাপ জিম্মিদের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে।’ ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় আটক ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দি, যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে তাদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে।


১৯ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলা যুদ্ধবিরতির ফলে ফেরত আসা ৩৩ জন জিম্মির মধ্যে আটজন ফিরেছে কফিনে। ইসরায়েলের হাতে আটক প্রায় ১,৮০০ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে তারা ফিরে আসে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে হামাসের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের মতবিরোধের পর, ১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভারী বোমাবর্ষণ করে বৃহৎ আকারের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে।


নিমরোদি জানান, তার ছেলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেসামরিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধানকারী ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা সিওজিএটি-এর একজন সেনা। তিনি তাকে ‘সুখী, কৌতূহলী, পরোপকারী ও সৃজনশীল’ বলে বর্ণনা করেন।


৭ অক্টোবর ভোর থেকে শুরু হওয়া হামাসের হাজার হাজার রকেট হামলা সম্পর্কে তামির তাকে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়।তামিরকে ২০ মিনিট পরে আরো দুই সেনার সঙ্গে জিম্মি করা হয়। দুই মাস পরে গাজার অভ্যন্তরে ওই দুই সৈন্য নিহত হয়।


ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকার জোর দিয়ে বলছেন, জীবিত বা মৃত জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে বাধ্য করার একমাত্র উপায় হলো সামরিক চাপ বৃদ্ধি। ইসরায়েলে জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনকে অগ্রাধিকার না দেওয়ার অভিযোগ করে নিমরোদি বলেন, দেড় বছর ধরে, তা কাজ করেনি। কাজ হয়েছে আলোচনা এবং চাপ (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে) সৃষ্টি।


২০ বছর বয়সী তামির ২৪ জন জিম্মির মধ্যে একজন, যাদের জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার অপহরণের পর থেকে জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ পাঠানো হয়নি।


সূত্র: এএফপি


এসজেড