ইরান সোমবার অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনার ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি কী হবে তা ‘নির্ধারণ’ করার চেষ্টা করছেন। তেহরান থেকে এএফপি জানায়, নেতানিয়াহু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি বিলুপ্ত করার পাশাপাশি, যেকোনো চুক্তিতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে দাবি করার পর ইরান এমন অভিযোগ তুলল।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি একটি পোস্টে বলেন, ‘নেতানিয়াহু কীভাবে এত সাহসিকতার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নির্দেশ দিচ্ছেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি ট্রাম্পকে ইরান নিয়ে তার কূটনীতির ক্ষেত্রে কী করতে পারবেন এবং কী করবেন না, তা নির্ধারণ করে দিতে চাইছেন।’
রোববার নেতানিয়াহু বলেন, ‘যেকোনো বাস্তব ইরান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি এমন একটি চুক্তি হবে যা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির ক্ষমতা ছিন্ন করে দেবে এবং এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিরোধও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’ এই মন্তব্যের পরপরই ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ওমানে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তৃতীয় দফা উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছেন। উভয় পক্ষই এর অগ্রগতি সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে।
তেহরানের আঞ্চলিক প্রভাব এবং ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা, যা পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করেছে, তা ছিল আলোচনায় ইরানের ‘লাল রেখা’। তেহরান ইসরায়েল বিরোধী মিলিট্যান্ট গ্রুপগুলোর নেটওয়ার্ক ‘প্রতিরোধের অক্ষ’কে সহায়তা দেয়। এর মধ্যে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী, লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইরাকের শিয়িত সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে।
আরাঘচি সোমবার বলেন, ‘ইসরাইলের ধারণা, তারা ইরান কী করতে পারবে বা না করতে পারবে তা নির্ধারণ করতে পারবে, তা বাস্তবতার সঙ্গে এতটাই বিচ্ছিন্ন যে এটি উত্তর দেওয়ার যোগ্য নয়। আমরা আশা করি আমাদের মার্কিন সহকর্মীরাও সমানভাবে দৃঢ় থাকবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করার অভিযোগ এনে আসছে, যদিও তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে যে তার পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ নাগরিক উদ্দেশ্য সাধন করে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড