ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গ্রীষ্মকালের উপযোগী খাবার: স্বাস্থ্যে সতেজতার ছোঁয়া

গ্রীষ্মকালের দাবদাহে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
  • | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
গ্রীষ্মকালের উপযোগী খাবার: স্বাস্থ্যে সতেজতার ছোঁয়া গ্রীষ্মকালের উপযোগী খাবার

গ্রীষ্মকালের দাবদাহে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই সময়ে এমন খাবার বেছে নেওয়া জরুরি, যা শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। পুষ্টিবিদরা বলেন, গ্রীষ্মে হালকা, সহজপাচ্য এবং পানিপূর্ণ খাবারের প্রতি ঝুঁকতে হবে।


গ্রীষ্মের জন্য অন্যতম উপযোগী ফল হলো তরমুজ। এতে শতকরা ৯২ ভাগ পানি থাকে, যা শরীরকে দ্রুত হাইড্রেট করে এবং ক্লান্তি দূর করে। সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন 'সি' ও 'এ' যা ত্বক সতেজ রাখতে সাহায্য করে। একইভাবে শশা একটি অনন্য খাদ্য, যা শরীরের অতিরিক্ত গরমভাব কমাতে সহায়ক। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ঠান্ডা করে রাখা শশা রাখলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।


এই সময়ে ডাবের পানি অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট থাকায় শরীরের জলশূন্যতা রোধ হয়। লেবুর শরবতও গ্রীষ্মকালের আদর্শ পানীয়। এতে থাকা ভিটামিন 'সি' রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা অনুভব করায়। এ ছাড়া ঘরের তৈরি চিঁড়ার সাথে দই মিশিয়ে খাওয়া এক দারুণ পুষ্টিকর ও শীতল খাবার হতে পারে।


সবজি হিসেবে গাজর, লাউ, পাটশাক ইত্যাদি এই সময়ে খুব উপযোগী। এগুলো হালকা এবং সহজপাচ্য হওয়ার পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। চর্বিযুক্ত ভারী খাবার, অতিরিক্ত মসলা বা ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এ ধরনের খাবার গ্রীষ্মে শরীরে অতিরিক্ত উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রীষ্মকালীন খাদ্যাভ্যাসে সতেজ ফলমূল, শাকসবজি এবং পর্যাপ্ত পানি গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর থাকবে চাঙ্গা ও রোগমুক্ত। স্বাস্থ্যকর খাদ্য নির্বাচনই হতে পারে গরমের দিনে সুস্থ থাকার অন্যতম চাবিকাঠি।