প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা পুনরায় চালুর পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান এবং বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা শেখ নাহায়ান বিন মোবারক আল নাহায়ানকে তাঁর কৃতজ্ঞতা জানান, যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহনশীলতা ও সহাবস্থান বিষয়ক মন্ত্রী এবং উক্ত উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্র অতিথি ভবন যমুনায়।
সাবেক উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আল নাহায়ান নেতৃত্বাধীন আমিরাতের প্রতিনিধিদল বুধবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাদের অভ্যর্থনা জানান।
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহমেদ বিন আলি আল সায়েঘ এবং বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুর রহমান আল হাওই।
বৈঠকে আল নাহায়ান বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি সংহতি জানানো এবং আমাদের বন্ধুত্ব পুনরায় তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের প্রেসিডেন্ট।”
তিনি আরও বলেন, “দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বাড়তে থাকা সংলাপকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি এবং বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”
এই সদয় উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, “আমরা এই সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা স্বাগত জানাই। বিভিন্ন শিল্পখাতে আপনাদের বিনিয়োগের প্রস্তাবকেও আমরা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করি।”
ভিসা নীতির শিথিলতার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দ্বার খুলে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এখনও কিছু পদক্ষেপ বাকি আছে, আশা করি আমরা এ বিষয়ে যুক্ত থেকে সমস্যাগুলো সমাধান করব।”
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা প্রদান শুরু করেছে। ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলগুলোর জন্য বাল্ক ভিসা দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও, দক্ষ শ্রমিকদের জন্য অনলাইন ভিসা ব্যবস্থা পুনরায় চালু করেছে আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। এই পদ্ধতিতে সম্প্রতি মার্কেটিং ম্যানেজার, হোটেল স্টাফ প্রভৃতির জন্য ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
অতিরিক্তভাবে, নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য ইতিমধ্যে ৫০০টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে এবং আরও ১,০০০ ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এই বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হামোদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
thebgbd.com/NA