আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য এক শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটোর নতুন ব্যয় প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র সামরিক অস্ত্র নয়, বরং বৃহত্তর ‘প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত’ খাতকে অন্তর্ভুক্ত করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অবস্থান ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন হিসেবে এসেছে।
ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, জুন মাসে নেদারল্যান্ডের হেগ-এ অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতি আদায়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫ শতাংশ জিডিপি ব্যয়ের একটি নতুন লক্ষ্য নির্ধারণের চাপ দিচ্ছেন—যা বর্তমানে ন্যাটোর ৩২ সদস্যের কেউই পূরণ করছে না। ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে একটি আপোষমূলক প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে ২০৩২ সালের মধ্যে সরাসরি সামরিক খাতে ৩.৫ শতাংশ এবং অতিরিক্ত ১.৫ শতাংশ নিরাপত্তা-সম্পর্কিত খাতে ব্যয় করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো দূত ম্যাথিউ হুইটাকার এই প্রস্তাবের পক্ষে ওয়াশিংটনের সমর্থন ঘোষণা করে বলেন, ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যয়ের ক্ষেত্র বিস্তৃত করা প্রয়োজন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই নতুন হেগ বিনিয়োগ পরিকল্পনা শুধু প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নয়, বরং এতে চলাচল, অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়ও থাকবে। এটা অবশ্যই শুধু মিসাইল, ট্যাংক বা হাউইটজার নয়। তবে অবশ্যই প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত খাত হতে হবে। এটা যেন সবকিছু খরচ করার একটা খোলামেলা তালিকা না হয়ে যায়।’
ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামীকাল বুধবার তুরস্কের আনতালিয়া শহরে দু’দিনব্যাপী বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন, যেখানে হেগ সম্মেলনের খসড়া বিবরণ চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলবে। ওয়াশিংটনের এই নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি রুটেকে সমঝোতায় পৌঁছাতে সহায়তা করতে পারে, কারণ এটি এখনও বর্তমান ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণে লড়াইরত মিত্রদের জন্য কিছুটা সুযোগ তৈরি করছে।
ইউক্রেনে ২০২২ সালে রাশিয়ার হামলার পর ইউরোপ প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে। তবে কানাডা, ইতালি এবং স্পেনসহ কয়েকটি দেশ এ বছরেই প্রথমবারের মতো ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে যাচ্ছে। কূটনীতিকরা মনে করছেন, নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ব্যয়কে এই গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে যেসব দেশ বাজেট ঘাটতির চাপে রয়েছে, তারা ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাপারে আরও সহজে সম্মত হতে পারবে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড