পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চার দফা দাবি আদায়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু করে। দাবি আদায়ে সমাবেশে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টায় সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাবেশে জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে আমাদের আর পেছনে ফেরার জায়গা নেই। আমরা বিকেল সাড়ে ৩টায় অনশন কর্মসূচি শুরু করব। বিজয় না নিয়ে আমরা ফিরছি না।
অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আরিফুর রহমান বলেন, আজকে তৃতীয় দিনের মতো আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার আশ্বাস কিংবা দাবি পূরণের বিষয়ে জানানো হয়নি। এই দাবি আমাদের যৌক্তিক দাবি। এভাবে পড়াশোনা করা যায়না। হাজার হাজার শিক্ষার্থী দিনের পর দিন অমানবিকভাবে জীবনযাপন করছে। তাই আজকে থেকে শুরু হওয়া চলমান আমরন অনশনে সবার সঙ্গে আমিও অংশ নিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে জীবন চলে গেলেও আমরা কর্মসূচি থেকে উঠবো না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন বলেন, যাদের কাছে আমাদের দাবি নিয়ে এসেছি, তাদের কানে আমাদের কথা পৌঁছাচ্ছে না। আমাদের দাবি আদায় হবে, নয়ত আমরা এখানেই থাকব, এখানেই আমাদের মৃত্যু হবে। আমাদের দাবি আদায় হলে আমাদের কর্মসূচি তাৎক্ষণিকভাবে সমাপ্ত করব।
গত বুধবার থেকে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সমাবেশ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০টি বাস চক্রাকারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলে নিয়ে এসেছেন।
উল্লেখ্য, চার দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে তারা আজ কাকরাইল মোড়ে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার ভবনের যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
তাদের চার দফা হলো— ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।
thebgbd.com/NA