আট বছর আগে ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামানকে অপহরণের পর গুম ও হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এই ৬২ জন ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ১৫ থেকে ২০ জন খিলগাঁও থানার ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানকে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অপহরণের পর গুম করেন। তাকে বেআইনিভাবে হেফাজতে রেখে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে ১৫ থেকে ১৬টি গুলির চিহ্ন পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) সকালে এই অভিযোগ দেন নুরুজ্জামানের বাবা মো. ইয়াকুব আলী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষকবিষয়ক সমন্বয়ক মো. সালাহ উদ্দিন খান। নুরুজ্জামান খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
অভিযোগপত্র দাখিল শেষে গণমাধ্যমকে সালাহ উদ্দিন খান জানান, ২০১৫ সালে জনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক এক বন্ধুকে দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর তাকে অপহরণ করা হয় এবং গুম করে রাখা হয়। দুই দিন পর ১৬টি গুলি করে তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ হত্যা মামলার কোনো সুরাহা হয়নি। বাদী এখনো ন্যায়বিচার পায়নি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছি। আমরা আশা করি, আদালতের মাধ্যমে দ্রুত বিচার হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সাবের হোসেন চৌধুরী, আছাদুজ্জামান মিঞাসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধেও প্রমাণ রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল যেন এই বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করে, এটাই তাদের প্রত্যাশা।
thebgbd.com/NA