যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে হেনস্তার শিকার হলেছেন এক সাংবাদিক। গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করায় তাকে ব্রিফিং রুম থেকে টেনে তুলে নিয়ে বের করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার শেষ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। এই দিন গাজা ইস্যুতে সাংবাদিকদের একের পর এক তীক্ষ্ম প্রশ্নবানে জর্জরিত হন তিনি। এক পর্যায়ে গাজা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেন স্যাম হুসেইনি নামের এক সাংবাদিক। মুহূর্তের মধ্যে সবার সামনে থেকে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীরা। এই সময় স্যাম হুসেইনি বার বার তার গায়ে হাত দিতে নিষেধ করলেও তা তোয়াক্কা করেনি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি।
সাংবাদিক স্যাম হুসেইনি বলেছেন, ‘এখানে চুপচাপ বসেছিলাম। আমাকে দুই তিনজন লোক হেনস্তা করে। মুক্ত সংবাদপত্র, মুক্ত গণমাধ্যমের কথা বলেন। কিন্তু সেটা মানেন না।’ এক পর্যায়ে স্যামকে বার বার ‘নিয়ম-নীতি’ মানতে বলেন ব্লিঙ্কেন। জবাবে হুসেইনি বলেন, ‘অ্যামনেস্টি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত সবাই যখন বলছে ইসরায়েল গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র চলমান প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে বলছে। আপনি একজন যুদ্ধাপরাধী। আপনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হওয়া উচিত।’ এর পরপরই তাকে সংবাদ সম্মেলন থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।
শান্তি চুক্তি আগে থেকেই থাকলে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র কেন বোমা হামলা চালাতে ইসরায়েলকে সব ধরনের সহযোগিতা দিল সেই প্রশ্ন তোলেন ম্যাক্স বলুমেন্থাল নামের আরেক সাংবাদিক। তোপের মুখে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে মামলার তদন্তে নেমেছে ইসরায়েল। তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়া আছে, আইন আছে জানিয়ে ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইলেন ব্লিঙ্কেন। একইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দেশটির নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেন।
সূত্র: সিএনএন
এসজেড