আবারও এশিয়ার অন্যদম সামরিক শক্তি উত্তর কোরিয়া সমুদ্র থেকে স্থলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম স্ট্র্যাটেজিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পরীক্ষা চালিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ'র বরাত দিয়ে সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুতে ‘সঠিকভাবে’ আঘাত হেনেছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শনিবারের পরীক্ষার সময় বলেছেন, ‘ডিপিআরকে’র সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও উন্নত হচ্ছে।’ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১,৫০০ কিলোমিটার (৯৩০ মাইল) দূর পাল্লায় এলিপটিক এবং অষ্টকোণাকার গতিতে চলতে চলতে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। তবে এতে প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তার ওপর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানানো হয়েছে। কেসিএনএ পরীক্ষার স্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর প্রথম। তার শপথ গ্রহণের আগে, উত্তর কোরিয়া কয়েকটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে কিম জং উনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি আবার কিমের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তিনি তাকে ‘স্মার্ট নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
পিয়ং ইয়ং ও সিউলের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। উত্তর কোরিয়া গত বছর একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে। কেসিএনএ রোববার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যেখানে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও সিউল সরকারের যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনার সমালোচনা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটা পরিষ্কার, যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ ডিপিআরকে’র সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্বার্থকে প্রত্যাখ্যান করবে, ততক্ষণ ডিপিআরকে এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এই ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া নিয়মিতভাবে উত্তর কোরিয়াকে ক্ষুব্ধ করে। তারা এ ধরনের মহড়াকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখে থাকে। অক্টোবরের শেষে উত্তর কোরিয়া তাদের সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী সলিড-ফুয়েল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায়। এর কয়েক দিন পর স্বল্প পাল্লার বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড