আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সামনে এসেছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, সরকারিকরণ ও জাতীয়করণ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কিছু ক্ষেত্রে সরকার আশ্বাসও দিয়েছে।
সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিবিসি বাংলা এসব বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, "আপনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু এর ফলে যে অতিরিক্ত ব্যয় হবে, তা কীভাবে সামলাবেন? এটি তো দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক প্রভাব ফেলবে।"
এর জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "রাজনৈতিক সরকার থাকা অবস্থায় তারা এটি করেনি। এখন আমরা যা দিচ্ছি, সেটাও সীমিত। কারণ, কিছু মানুষ একেবারেই বঞ্চিত হয়েছে। তবে আমরা পে কমিশনের মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনা করব না, এটি আমাদের দায়িত্ব নয়। রাজনৈতিক সরকার আসবে, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পে কমিশন করা হয়েছিল।"
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি মাথা নেড়ে ‘না’ সূচক ইঙ্গিত দেন এবং বলেন, "শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ওভারটাইম এবং অন্যান্য কিছু বিষয় পর্যালোচনা করা হবে, যদি সম্ভব হয়। তবে এটি একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে থাকবে, পে স্কেলে কোনো পরিবর্তন করা হবে না।"
তিনি আরও বলেন, "আমি সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমাবো না। শিক্ষা, আইটি, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এসব খাতে বরাদ্দ আগের মতোই থাকবে। এমনকি আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও বলেছেন, অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারো, বাজেট সহায়তা পেতে পারো, কিন্তু এসব সামাজিক খাতে বরাদ্দ কমানো যাবে না।"
thebgbd.com/NA
