রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের প্রতিরক্ষা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার ইইউ নেতারা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ন্যাটো প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, ব্রাসেলেসের এই সমাবেশকে ‘ট্রিপল ফার্স্ট’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের পর এটিই প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ নেতার বৈঠক। প্রতিরক্ষা বিষয়ে এটি তাদের প্রথম আলোচনা এবং ব্রেক্সিটের পর থেকে এটিই প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা।
প্রায় তিন বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করার পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের সামরিক বাজেট বাড়িয়েছে। তবে কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, তারা এখনও যথেষ্ট দ্রুত নিজেদের সশস্ত্র করছে না। আগামী বছরগুলোতে মস্কো তাদের নিজেদের মধ্যে একটিকে আক্রমণ করতে পারে বলে সতর্কবার্তা বাড়ছে।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে এসে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এই অস্থির নেতা বলেছেন, ইউরোপ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষার নিশ্চয়তা পেতে পারে না। ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ন্যাটো দেশগুলোকে তাদের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে জিডিপির পাঁচ শতাংশে উন্নীত করবে। যা অনেক দেশের নাগালের বাইরে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প, যার ফলে ইউরোপীয়রা ভীত হয়ে পড়েছেন। তিনি তাদের পাশে সরিয়ে কিয়েভকে একটি খারাপ চুক্তিতে বাধ্য করতে পারেন। তবে, এটি কেবল ওয়াশিংটনের ইউরোপ থেকে সরে যাওয়ার ভীতি নয়। ট্রাম্প একাধিক সরাসরি হুমকি দিয়ে মার্কিন মিত্রদের বিচলিত করে তুলেছেন।
সূত্র: রয়টার্স
এসজেড