ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পাখি সনাক্তকরণ ক্যামেরা বসছে দ. কোরিয়ার বিমানবন্দরে

দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
পাখি সনাক্তকরণ ক্যামেরা বসছে দ. কোরিয়ার বিমানবন্দরে মুয়ান বিমনবন্দরে বিধ্বস্ত বিমান।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাখি সনাক্তকরণ ক্যামেরা এবং রাডার স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে। জেজু বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হওয়ার পর দেশটির কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।


২৯ ডিসেম্বর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান ১৮১ জন যাত্রী এবং ক্রু নিয়ে থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মুয়ানে যাওয়ার সময়ে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। অবতরণের চেষ্টাকালে উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং সঙ্গে সঙ্গে সেটিতে আগুন ধরে যায়। ফলে দুজন ব্যাতিত বিমানের বাকি সবাই মারা যান। দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। 


দুর্ঘটনার সময়, পাইলট প্রথম অবতরণের প্রচেষ্টা থেকে বেরিয়ে আসার আগে পাখির ধাক্কার বিষয়ে সতর্ক করছিলেন। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ল্যান্ডিং গিয়ারটি বের না হওয়ায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার এবং মার্কিন তদন্তকারীরা এখনও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে। এই দুর্ঘটনায় দেশজুড়ে জাতীয় শোক পালনের মাধ্যমে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনায় বিমানবন্দরগুলোর একটি দেশব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা পরিদর্শনের অংশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।


সূত্র: এএফপি


এসজেড