রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজেদের অবস্থান থেকে ছাড় দেওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে বলেন, "জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি আমাদের জাতি ও রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।"
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, কমিশন আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার পরিকল্পনা করছে, যা বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক হবে। তিনি জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সময় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, "অনির্বাচিত সরকার বেশি দিন থাকলে দেশে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়।" তিনি আরো বলেন, "এমন একটি ভোট ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে জনগণ দীর্ঘ ১৫ বছর পর ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সরকার গঠন করতে পারে।"
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ১১২টিতে একমত, ২৬টিতে একমত নয় এবং ২৮টিতে আংশিক একমত হয়েছে।
thebgbd.com/NIT