ন্যাটোর পারমাণবিক মিশনকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাজ্য পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান পুনঃপ্রবর্তন করার পরিকল্পনা করবে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় বুধবার ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির সময় এ তথ্য জানান। লন্ডন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
দেশটি ১২টি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান কিনবে বলে জানা গেছে। যার ফলে দেশের প্রতিরোধ অস্ত্রাগার সম্প্রসারিত হবে। যা বর্তমানে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
স্টারমার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধবিমান এফ-৩৫এ দ্বৈত সক্ষম বিমানগুলো আমাদের বিশ্ব-নেতৃস্থানীয় রাজকীয় বিমান বাহিনীর জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করবে এবং যুক্তরাজ্য এবং আমাদের মিত্রদের জন্য হুমকি প্রতিহত করবে’।
বিবৃতিতে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আজকের ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে স্বাগত জানাই।’ তিনি এটিকে ‘ন্যাটোতে আরো একটি শক্তিশালী ব্রিটিশ অবদান’ বলে অভিহিত করেন। ডাউনিং স্ট্রিট এটিকে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক অবস্থানের সবচেয়ে বড় শক্তিশালীকরণ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। আরো বলা হয়েছে, স্টারমার বুধবার শীর্ষ সম্মেলনে এই পরিকল্পনাটি ঘোষণা করবেন।
শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে, আটলান্টিক জোটের মধ্যে যুক্তরাজ্য পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কেবলমাত্র রয়্যাল নেভির সাবমেরিনে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মাধ্যমেই সরবরাহ করে আসছে। ফরাসি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইনস্টিটিউট (আইএফআরআই) এর পারমাণবিক বিশেষজ্ঞ হেলোইস ফায়েট এএফপিকে বলেন, এই ঘোষণা ‘ইউরোপের ক্রমাগত পুনঃপারমাণবিকীকরণ, পারমাণবিক অস্ত্রের নতুন প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতিপক্ষ রাশিয়ার মুখোমুখি ন্যাটোর প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালীকরণের’ চিত্র তুলে ধরে।
মার্কিন কোম্পানি লকহিড মার্টিন কর্তৃক নির্মিত এফ-৩৫এ হল যুক্তরাজ্য কর্তৃক ইতোমধ্যে ব্যবহৃত এফ-৩৫বি এর একটি রূপ, তবে এটি প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। রাজকীয় বিমান বাহিনীর কাছ থেকে এই অধিগ্রহণের দীর্ঘস্থায়ী অনুরোধ রয়েছে। পূর্ব ইংল্যান্ডের মারহাম বিমান ঘাঁটিতে বিমানগুলো মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড