সরকার এবার আরও ১৪ জন শুল্ক, কর ও ভ্যাট কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলা এবং ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের’ অভিযোগে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) পৃথক আদেশে এ সিদ্ধান্ত নেয়। আদেশে সই করেন এনবিআর চেয়ারম্যান ও আইআরডি সচিব আবদুর রহমান খান।
বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার (অতিরিক্ত কমিশনার, মূসক গোয়েন্দা বিভাগ), মির্জা আশিক রানা (অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল-৮), সিফাত ই মরিয়ম (উপপ্রকল্প পরিচালক, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো), শাহাদাত জামিল (দ্বিতীয় সচিব, এনবিআর), মাসুমা খাতুন, মুরাদ আহমেদ, মোরশেদ উদ্দীন খান, মোনালিসা শাহরীন, আশরাফুল আলম, শিহাবুল ইসলাম, নুশরাত জাহান, ইমাম তৌহিদ, শফিউল বশর ও সবুজ মিয়া।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে গত মাসে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংগঠিত আন্দোলন করেন। তাঁদের দাবি ছিল, এনবিআর বিলুপ্ত করে নতুন কাঠামো গঠনের আগে সব পক্ষের মতামত নিতে হবে। গত ২২ জুন এনবিআর কিছু কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেয়, যা আন্দোলনকারীরা প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেন।
হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং মির্জা আশিক রানা সহসভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ বরখাস্তসহ এ পর্যন্ত—৩ জন সদস্য ও ১ কমিশনার বাধ্যতামূলক অবসরে; চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার সাময়িক বরখাস্ত; দুদক ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, যাঁদের বেশির ভাগই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত।
সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগে থাকবেন এবং খোরপোষ ভাতা পাবেন বিধি অনুযায়ী।
thebgbd.com/NA