ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অস্ত্র সমর্পণ করবে না হিজবুল্লাহ

হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অস্তিত্ব থাকাকালীন হিজবুল্লাহ তার অস্ত্র সমর্পণ করবে না।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৫ আগস্ট, ২০২৫
অস্ত্র সমর্পণ করবে না হিজবুল্লাহ নাইম কাসেম।

যতদিন ইসরায়েলের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন পর্যন্ত হিজবুল্লাহ অস্ত্র সমর্পণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীটির প্রধান নাইম কাসেম। শুক্রবার পূর্ব লেবাননের বালবেক শহরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দোহিত্র ইমাম হুসেনের শাহাদাতের ৪০ দিনের শোক সমাপ্তি দিবস উপলক্ষে স্মরণসভা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন।


হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অস্তিত্ব থাকাকালীন হিজবুল্লাহ তার অস্ত্র সমর্পণ করবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েলি-মার্কিন জোটের বিরুদ্ধে আমরা কারবালার মতো যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, মূল্য যাই হোক না কেন। লেবাননের সরকারের সমালোচনা করে নাইম কাসেম বলেন, ‘যেকোনো অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য এবং দেশের ভূমি রক্ষার দায়িত্বে অবহেলার জন্য এই সরকার সম্পূর্ণ দায় বহন করে।’


আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করতে সরকারকে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় ও কৌশলগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার সময় আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।’ কাসেম আরও সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণের ইসরায়েলি-মার্কিন জোটের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রাস্তার বিক্ষোভ আরও তীব্র হতে পারে, যা সম্ভবত বৈরুতের মার্কিন দূতাবাস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।


লেবাননের মন্ত্রিসভা গত সপ্তাহে দেশটির সেনাবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ নিরস্ত্রীকরণ পরিকল্পনার খসড়া তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে এবং সারা দেশে সমস্ত অস্ত্রের ওপর রাষ্ট্রের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন-সমর্থিত প্রস্তাবকে অনুমোদন করেছে। বিতর্কিত এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে এই পরিকল্পনাকে ‘মারাত্মক ভুল’ বলে অভিহিত করেছে হিজবুল্লাহ। 


২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর লেবাননে সামরিক আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়। এতে চার হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার আহত হয়। নভেম্বরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষরিত হয়। যুদ্ধবিরতির অধীনে ইসরায়েলের চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের কথা ছিল, কিন্তু তেল আবিব তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ইসরায়েল এখনও পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে এবং দক্ষিণ লেবাননে প্রায় প্রতিদিনই আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।


সূত্র: আনাদোলু


এসজেড